বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাবুগঞ্জে ঈদ-ঊল-আয্হা উপলক্ষে অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বিশেষ রাদ্ধকৃত ভিজিএফ চাল নিয়ে চালবাজীর অভিযোগ উঠেছে রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে, আগামী ঈদ-ঊল-আযহা উপলক্ষে সাড়া দেশের ন্যায় বরিশাল বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে বিতরণের জন্য বিশেষ বরাদ্ধকৃত ২৩.১৪০ মেট্রিক টন চাল রহমতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে গত ১০/০৮/২০১৮তারিখে বিলি আদেশ(ডিও) এর মাধ্যমে উত্তোলন করেন। নিয়মানুযায়ী চাল উত্তোলনের পর পূর্ব নির্ধারিত তারিখে আজ শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
সে অনুযায়ী ইউনিয়নের ১১৫৭ জন হত দরিদ্র নারী পুরুষ ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে এসে জমায়েত হয়। এ দিকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হতদরিদ্রের জন্য দেওয়া বিশেষ বরাদ্ধকৃত এ চাল আনুষ্ঠানিক ভাবে বিতরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড শেখ মোঃ টিপু সুলতান ও বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম খালেদ হোসেন স্বপনের থাকার কথা, কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যার সরোয়ার মাহামুদ তরিঘরি করেই চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ শনিবার উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম খালেদ হোসেন স্বপনকে ফোনে চাল বিতরণের খবরটি জানান। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন হটাৎ করে কেন চাল বিতরণ করা হবে? এর কোন উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ দিতে পারেনি বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে বিতরণের জন্য উত্তেলনকৃত চাল দেখতে চান, এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান দেখতে পান উত্তোলন কৃত ২৩.১৪০ মেট্রিকটন চাল ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে নেই! এর কারণ ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সকল চাল উত্তোলন করা হয়নি, ১০ মেট্রিকটন চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেল চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিত চাল বিতরণ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা খাদ্য গুদামে যান এবং উপজেলা খাদ্য গুদামের পরিদর্শক’র কাছে জানতে চান কি পরিমান চাল উত্তোলন করা হয়েছে, খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আঃ খালেক জানান, রহমতপুর ইউনিয়নের জন্য বরদ্ধকৃত চাল ২৩.১৪০ মেট্রিক টন চাল চেয়ারম্যান কাগজ পত্রে উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। কিন্ত রহমতপুর ইউনিয়নের কিছু চাল এখনও খাদ্য গুদামে আছে,(১৩.১৪০ মেট্রিক টন) যাহা পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ নিবেন বলেন জানান। খাদ্য গুদাম থেকে বিলি আদেশের মাধ্যমে চাল উত্তোলনের পর সেই চাল/গম সরকারী খাদ্য গুদামে রাখার কোন বৈধতা কোন জনপ্রতিনিধির আছে কিনা এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বাবুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল খালেক জানান নিয়মানুযায়ী বিলি আদেশের মাধ্যমে চাল/গম উত্তোলনের পর তা আর গুদামে সংরক্ষণ করা বা আমার অনুমনি দেওয়ার এখতিয়ার নেই। তবে এ ঘটনা নিয়ে নাম প্রকাশে একাধিক ব্যাক্তি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও খাদ্য পরিদর্শ মিলে এ চাল আতœসাতের উদ্দ্যেশে গোপনে গুদামে রেখেছেন।
এ বিষয়ে রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ বলেন ২৩.১৪০ মেট্রিক টন চাল উত্তেলন করেছি,১০ মেট্রিক টন চাল ইউনিয়ন পরিষদের গুজামের বিতরণের জন্য রেখেছি,স্থান সংকুলনের কারণে ১৩.১৪০ মেট্রিকটন চাল উপজেলা খাদ্য গুদামে রাখা হয়েছে, যাহা পর্যায়ক্রমে বিরতণ করা হবে। আমার চাল আতœসাতের বিষয়টি সত্য নয়।
এ দিকে সকাল থেকে ২ টা পর্যন্ত চাল বিতরণ বন্ধ ছিলো পরবর্তীতে আগত গত দরিদ্রদের বিষয়টি বিবেচনা করে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম খালেদ হোসেন স্বপন,ও পুলিশ প্রসাশন ও ইউপি চেয়াম্যান সরোয়ার মাহামুদ ও সকল ইউপি সদ্যদের উপস্থিতিতে পরবর্তীতে দুপুর ২ টার পর চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ টিপু সুলতান বলেন নিয়মানুযায়ী চাল বিতরণের সময় স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে চাল বিতরণ করার কথা, কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি।আজ শনিবার চাল বিতরণ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে মর্মে আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
Leave a Reply